নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে প্রাথমিকভাবে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে ঢাকা সিটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল।
বুধবার (৯ আগস্ট) আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এই বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর ১৬টি জেলার ১১ হাজার দূরপাল্লার বাস আর ঢাকায় প্রবেশ করবে না। এতে ঢাকার যানজট অনেকটাই কমবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খান ও পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে।
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই টার্মিনালটিকে বাস চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
মেয়র তাপস বলেন, ১৯৮৪ সালে সয়দাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর ঢাকায় আর কেউ বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থাপনায় কোনো শৃঙ্খলা নেই। নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ঢাকার বাইরে সড়ক ও গণসড়ক বিভাগের জায়গায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬টি জেলার গণপরিবহন চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে, সয়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে শুধুমাত্র নগর পরিবহনের বাস চলাচল করবে। ঢাকার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাঁচপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছাতে পারে এবং দূরপাল্লার বাসে সহজে উঠতে পারে, সে জন্য সয়দাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সিটি পরিবহনের বাস চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমবে এবং নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার বাইরে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। তার প্রথম উদ্যোগ ছিল কাঁচপুর বাস টার্মিনাল।
তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে টার্মিনালটিকে মাঠ ভরাট, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, চালক ও হেলপার কর্মচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণসহ বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ বিঘা জমিতে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঢাকার গণপরিবহন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার যে কোনো উদ্যোগকে তিনি সমর্থন করবেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক কাঁচপুর বাস টার্মিনাল যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে সেখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬টি জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফিরদৌস বলেন, ঢাকার বাইরে এসব বাস চালু হলে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।
No comments:
Post a Comment