জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, গুলশান থানা ছাত্রলীগ, নেতা মোদের শেখ মুজিব

Adsteraa

Breaking

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চিত্রধারণের জন্য বিখ্যাত : কিশোর পারেখ



কিশোর পারেখ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চিত্রধারণের জন্য বিখ্যাত। মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশি সাংবাদিক ছবি তুলেছেন এদের মধ্যে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম।তিনি কোন অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়াই স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের ছবি তুলেছিলেন। মাত্র ৮ দিনে তার তোলা ৬৭টি ছবি মুক্তিযুদ্ধের এক অসামান্য দলিল.....

কিশোর পারেখ এর জন্ম হয় গুজরাটের ভবনগরে- ১৯৩০ সালে।

১৯৭১ সালে কিশোর ৪০ রোল ফিল্ম আর নাইকন ক্যামেরা যোগাড় করেন। এক বন্ধু তাকে পৌঁছে দেন বর্ডারে। তিনি ৮ ডিসেম্বর ঢুকে পড়েন প্রেস হেলিকপ্টারে। ৮ই ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত কিশোর ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে। এই সময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি তোলেন। এরপর ফিরে গিয়ে টানা তিন দিন তিন রাত ফিল্ম ডেভেলপ করেন। ৬৭টি ছবি নিয়ে ১৯৭২ সালে তিনি
"বাংলাদেশ : এ ব্রুটাল বার্থ" নামে একটি ফটোগ্রাফি বই প্রকাশ করেন । ভারত সরকার তাঁর ছবি দেখে ইংরেজি ও ফরাসিতে ২০ হাজার কপির অর্ডার দেন।

কিশোরের স্ত্রী সরোজ পারেখের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় -
" কিশোর ১৯৬৭ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের চাকরি পরিত্যাগ করার পর সপরিবারে হংকং চলে আসেন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশে যেয়ে পুরো যুদ্ধটাকে ছবির মাধ্যমে কভার করবেন। ঢাকায় অবস্থানকালীন সময় তার পক্ষে একজন সিভিলিয়ান হয়ে সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রের ছবি তোলা খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। তাই তিনি পাকিস্তান আর্মির পোশাক যোগাড় করে ঐতিহাসিক কাজগুলো সাহসিকতার সাথে সম্পন্ন করেছিলেন।
এর জন্য তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ধরাও পড়েন। তাঁকে প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং ফটো সাংবাদিক।
কোনো চাকুরিগত বাধ্যবাধকতা নয়, আর্থিক কোনো লাভ নয়, স্রেফ একটি যুদ্ধকে ইতিহাসের অংশ করে রাখার জন্যেই চলে আসেন যুদ্ধ আক্রান্ত দেশে।”

১৯৮২ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে হিমালয় পবর্তে ছবি তোলার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে কিশোরের মৃত্যুর ৩৩ বছর পর দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দি আর্টস (IGNCA) এ নজর ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কিশোর পারেখ এর ছবি "বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ" ভারতে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়। সে সময় কিশোর পুত্র স্বপন পারেখ এর সাথে কথা হয় সাংবাদিকদের সাথে। পেশায় স্বপন নিজেও ফটো সাংবাদিক। তিনি জানিয়েছিলেন -
যুদ্ধক্ষেত্রের মুক্তিযোদ্ধারা যাতায়াতের জন্য বাবাকে একটি জিপ দেয়। ১৬ ই ডিসেম্বর পা কি স্থানিদের আত্মসমর্পণ পর্যন্ত বাবা ৫ দিন ছবি তোলেন। এরপর আরো কয়েকদিন সেখানে ছিলেন। আর বাকি ছবিগুলো তখনই তোলা হয়। হংকং এ এসে তিনি প্রথমে বাসায় আসেন নি, সরাসরি স্টুডিও তে চলে যান।
সব মিলিয়ে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাবার ওজন বেশ কমে যায়। বাবা কিছুই খেতে পারতেন না।


"বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ" বইটি উৎসর্গ করা হয়
"FOR THOSE WHO SUFFERED"! 🇧🇩
ছবি : বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের





No comments:

Post a Comment