এ কারখানায় নার্সারি পট, ফ্লোর ম্যাট, প্লেস ম্যাট, ব্যাগ, ঝুড়ি, টিফিন বক্স, পোষা ঘর, টিস্যু বক্স, ফাইল বক্স, ফুলের ঝুড়িসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্য নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সৌদি আরব, জাপান, হংকং, মালয়েশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ডের মতো দেশে রপ্তানি করা হয়।
এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বেশিরভাগই নারী। যারা একসময় আর্থিক অনটনে দিন কাটাতেন, তাদের ভাগ্য ঘুরে গেছে কারখানার কাজের কারণে। এমনই একজন হলেন সদর উপজেলার হাউলী জয়পুর গ্রামের সালমা আক্তার। তিনি জানান, তার স্বামী দিনমজুর। করোনার সময় তাদের পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। তিনি দুই বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছেন। এখন তাদের সংসার ভালো চলছে। আপনি আপনার সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারেন। আপনি একটি বা দুটি শখ আইটেম কিনতে পারেন.
একই কথা বলেন কারখানার শ্রমিক ময়না বেগম, নাজমা খাতুনসহ অন্যরা। সংগঠনটির কর্মী রূপালী খাতুন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তিনি বলেন, কেউ তাকে চাকরি দেবে তা ভাবিনি। এখানে কাজ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।
গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টের সহকারী ব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন সুজন জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ শ্রমিক নারী। অনেকেই ঘরে বসে কাজ করে টাকা আয় করছেন। দেশে ও বিদেশে তাদের কোম্পানির পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে দারুণ হবে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর চালাতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের কোম্পানি ২০০৭ সালে ঢাকার সাভারে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালের দিকে তারা রাজবাড়ীতে আরেকটি কারখানা করার কথা ভেবেছিল। এখানে শুধু পাট নয়, হোগলা পাতা, ধানের খড় ও কচুরিপানা থেকেও পণ্য তৈরি হচ্ছে। রপ্তানির পাশাপাশি দেশীয় বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে পাটজাত পণ্যের সঠিক ব্যবহার হলে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকত। লাভবান হয়েছেন পাট চাষিরাও।
তিনি বলেন, তাদের পণ্যের মধ্যে ঝুড়ি, টেবিল ম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, লেডিস ব্যাগ, ফলের বাক্স, লন্ড্রি বক্স, টিস্যু বক্স, ফাইল বক্স, ট্রে, ফুলের ঝুড়ি ইত্যাদি রপ্তানি হয়।
No comments:
Post a Comment